আমরা কোনো ডোমেইন হিসেবে যে জিনিসটি চিনি তা হচ্ছে অনেকটা এরকম - "www.azgor.com" কিন্তূ এটা মুলত একটা সাবডোমেইন। এবং রুট ডোমেইন হচ্ছে "azgor.com" অনেকে এটাকে নেকেড ডোমেইন হিসেবে চিহ্নিত করে। যার অর্থ হচ্ছে উলঙ্গ ডোমেইন। ব্যপারটা হয় কিছুটা বুঝতে পেরেছেন।
সাবডোমেইন মূলত নতুন একটা CNAME তৈরিকে বুঝায়। এটা নিয়ে গত বছর সম্ভবত একটা পোস্ট দিয়েছিলাম। প্রাথমিকভাবে গুগলকেই সাবডোমেইনের দিকে বেশি প্রাধান্য দিতে দেখা যায়। আমি এরকমই দেখেছি। আমার দেখা ভুলও হতে পারে।
সাবডোমেইন তৈরির মুল উদ্দেশ্য হচ্ছে মূল ডোমেইন ধরন থেকে ভিন্ন কিছু টপিক নিয়ে যদি সাইট বা ব্লগ বানানো হয় সেজন্যে। যেমন আমার ডোমেইনের কিছু সাবডোমেইন আছে -
- sam.azgor.com - এটা আমার এই ব্লগের ইউয়ারএল
- shahriar.azgor.com - এটা আমার বড় ভাই এর ব্লগ
- picofsam.azgor.com - এটা আমার পিকচার ব্লগ
- proxy.azgor.com - এটা একটা সিম্পল প্রক্সি সার্ভার
- lol.azgor.com - এটা গুগলের সর্টেনিং সার্ভিস (লগইন অত্যাবশ্যকীয়)
এখন আসি কোনটা ব্যবহার করলে ভালো হবেঃ
পেজ রেঙ্ক এর কথা যদি চিন্তা করি তাহলে সাবডোমেইনের পেজ রেঙ্ক প্রথম থেকে শুরু হবে। যেমন www.azgor.com এর পেজরেঙ্ক যদি এক হয় তাহলে আমি যদি নতুন সাবডোমেইন (www2.azgor.com) বানিয়ে সাইট বানাই, এর পেজ রেঙ্ক কিন্তু সাথে সাথে এক হবে না। অপরদিকে সাবডিরেক্টরি(www.azgor.com/2) বানালে মূল ডোমেইন আমার ঠিক থাকছে ফলে পেজরেঙ্কের কথা চিন্তা করতে হচ্ছে না। তবে প্রতিটি পেজের জন্য আলাদা পেজরেঙ্ক রয়েছে সেক্ষেত্রে অন্য হিসাব।
তাহলে সাবডোমেইনের গুরুত্ব কি কমে গেল ?? না, কমে নি। কারন ভিসিটর পেজরেঙ্ক খাবে না, আপনার ব্লগের কন্টেন্ট খাবে। যদি পেজরেঙ্কের কথা ধরি তাহলে sites.google.com দিয়ে সাইট বা ব্লগ বানানো যেতে পারে। কারন এই সাবডোমেইনের পেজরেঙ্ক ৯। তাই বলে কি এখানে সাইট বানালে আপনার ভিসিটর বেশি আসবে!!! নতুন সাইট বানিয়ে সবাই উঠে পড়ে লাগে পেজরেঙ্ক বাড়ানোর জন্য। অথচ আমার দেখা এমন অনেক ব্লগ আছে যাদের পেজরেঙ্ক ০ অথচ ডেইলি ভিজিটর দেখলে মাথা খারাপ হয়ে যাবে। সুতরাং আপনি সাবডোমেইন ব্যবহার করেন আর সাবডিরেক্টরি ব্যবহার করেন আপনার কন্টেন্ট থাকতে হবে ইউনিক।
Khub valo laglo
ReplyDelete