পুরান জিনিস |
ঢাকার নওয়াব পরিবারের উদ্যোগে ঢাকায় ইস্ট বেঙ্গল সিনেমাটোগ্রাফ কোম্পানি গঠিত হয় এবং এর প্রযোজনায় অম্বুজপ্রসন্ন গুপ্ত নির্মাণ করেন নির্বাক পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র দ্য "দ্য লাস্ট কিস"। ১৯২৭ সালের দিকে "দ্য লাস্ট কিস" - এর চিত্রগ্রহণ শুরু হয়। নবাববাড়ির খাজা আজমল, খাজা আদিল, খাজা আকমল, খাজা নসরুল্লাহ, খাজা অজয়, খাজা আকিল, খাজা জহিরে, খাজা শাহেদ, শৈলেন রায় বা টোনা বাবু ছিলেন এই চলচ্চিত্রের অভিনেতা। তাদের সহযোগিতায় জগন্নাথ কলেজের শরীরচর্চার শিক্ষক অম্বুজ গুপ্ত এ চলচ্চিত্র নির্মাণ করেন। ঢাকার বিক্রমপুরে জন্ম অম্বুজ গুপ্তের। ঢাকা শহরের প্রাকৃতিক দৃশ্যসংবলিত "দ্য লাস্ট কিস" ছবির দৃশ্য ধারণ করা হয় মতিঝিল, দিলকুশা, শাহবাগ, নীলক্ষেত ও আজিমপুর বালিকা বিদ্যালয়ের কাছে নবাবদের বাগানে। এ ছবির চিত্রগ্রহণের কাজ শেষ হতে প্রায় এক বছর সময় লেগেছিল।
এ ছবিতে নায়কের ভূমিকায় অভিনয় করেন ঢাকা নবাব পরিবারের সদস্য খাজা আজমল ও নায়িকার চরিত্রে অভিনয় করেন ললিতা বা লোলিটা বা বুড়ি। ললিতা ছিলেন বাদামতলী পতিতালয়ের একজন যৌনকর্মী। চারুবালা, দেববালা বা দেবী নামের আরও দুই যৌনকর্মী এতে অভিনয় করেন। হরিমতি নামে একজন অভিনেত্রীও এতে অভিনয় করেন। একবছর পর লোলিটা তার আগের পেশায় ফিরে যান।
ঢাকায় এ ছবির শুটিং হলেও এর প্রিন্ট ও প্রসেসিং হয় কলকাতায়। ১২ রিলের ছবিটি ১৯৩১ সালে এই চলচ্চিত্র মুক্তি পায় ঢাকার মুকুল হলে (অধুনা আজাদ হল), এর প্রিমিয়ার শো উদ্বোধন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও বিশিষ্ট ইতিহাসবিদ ড. রমেশচন্দ্র মজুমদার (১৮৮৮-১৯৮০), পরে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য (১৯৩৬-১৯৪২) হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। রিলিজের সময় নির্বাক এ ছবি বাংলা, ইংরেজি ও উর্দু ভাষায় সাবটাইটেল করে দেওয়া হয়েছিল। প্রায় এক মাস এ ছবির প্রদর্শনী চলে।
ললিতা - দ্যা লাস্ট কিস |
# ছবিঃ দ্যা লাস্ট কিস
# রিভিউ লিখেছেনঃ Sam
# ছবির রেটিং
# রিভিউ লিখেছেনঃ Sam
# ছবির রেটিং
kothin hoise:)
ReplyDeletejotttttilz hoise:)
ReplyDeleteআপনি এই ছবির কোন লিঙ্ক পাবেন না।এটা সরকারীভাবে ধরে নেয়া হয়েছে যে ছবিটা আমরা দুর্ভাগ্যক্রমে হারিয়ে ফেলেছি।খুব মিরাকল না ঘটলে এটা পাওয়ার সম্ভাবনা নাই।আর যদি কেউ খোজ দিতে পারে তাহলে সে বাংলাদেশে বিখ্যাত হয়ে যাবে।
ReplyDeleteআশফাকুল তাপস: দোয়া করেন যাতে আমাদের মাঝে সেই ভাগ্যবান পাওয়া যায় :)
ReplyDelete