গডফাদার

গডফাদার

আমার জীবনে স্মরণীয় ঘটনাগুলোর মধ্যে একটি হচ্ছে গডফাদার বইটা পড়ে শেষ করতে ২ বছর সময় লাগে। কেন লাগে সেটা আরেক দিন বলব। আজ হঠাৎ মারিও পুজোর(Mario Puzo) গডফাদার নামের রোমাঞ্চকর সে উপন্যাসের কথা মনে পড়ে গেল। সেবা প্রকাশনীর সে অসাধারণ অনুবাদের সুবাদে বাংলায় অনেকেই আমরা পড়ে ফেলেছি ইতালির প্রেক্ষাপটে অপরাধ জগতের কাহিনী;
ক্ষমতার জন্য তাদের বিভিন্ন গ্রুপের মধ্যকার দ্বন্দ্ব-যুদ্ধের বিচিত্র আয়োজন। কি কৌশলে এক গডফাদারের মৃত্যুর পরে জন্ম নেয় আরেক গডফাদার। উপন্যাসে নাটকীয়তার জন্য দেখানো হয়েছে সম্পূর্ণ অপ্রত্যাশিত ভাবে এক কোমল স্বভাবের তরুণের গডফাদার হয়ে ওঠা।

আমার কাছে বইটির বাংলা pdf  আকারে এবং  ইংরেজি সংস্করনের লিঙ্ক আছে। যদিও আমি ইংরেজিটা পড়ি নাই। ইংরেজিটা মাত্র ১০২.৬২কিলোবাইট।
মারিও পুজোর উপন্যাস থেকে পরবর্তীতে ছবি করেছিলেন ফ্রান্সিস ফোর্ড কাপালা। ১৯৭২ সালে মুক্তি পায় অপরাধ জগতের মানুষগুলো নিয়ে তৈরি গডফাদার। কার্লিওনি পরিবারের কাহিনী। অভিনয়ে ছিলেন মার্লোন ব্রান্ডো,আল পাচিনোরবার্ট ডুভাল। এর দ্বিতীয় পর্ব মুক্তি পায় ১৯৭৪ সালে। দ্বিতীয় পর্ব মূলত ভিটো কার্লিওনির মাফিয়া হওয়ার কাহিনী। এই পর্বে ভিটো কার্লিওনির চরিত্রে অভিনয় করেন রবার্ট ডি নিরো। সাধারণত দ্বিতীয় পর্ব বানানো হলেও তা বেশিরভাগ সময়েই ভাল কিছু হয় না। সেদিক থেকে গডফাদার-২ ছিল ব্যক্তিক্রম। সেরা দ্বিতীয় পর্ব বলা হয় এই ছবিকে। বিশেষ করে যারা প্রথম পর্বের মার্লোন ব্যান্ডো এবং দ্বিতীয় পর্বের রবার্ট ডি নিরোর অভিনয় তুলনা করে দেখবেন তাদের জন্য সেটি হবে দারুণ এক অভিজ্ঞতা।
মজার ব্যাপার হলো প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানের পছন্দ ছিল পরিচালক হিসাবে সার্জিও লিওন এবং অভিনেতা হিসাবে লরেন্স অলিভার। কিন্তু গল্পটি ভাল না লাগায় সার্জিও লিওন পরিচালক হতে রাজি হননি আর লরেন্স অলিভিয়ার স্বাস্থ্যগত কারনে রাজি ছিলেন না। অথচ বিকল্প অভিনেতা ও পরিচালক এই এক ছবির জন্যই কিংবদন্তী হয়ে আছেন।
ছবিটি কেউ ডাউনলোড করতে চাইলে নিচের লিঙ্কটি দেখতে পারেন

    2 comments :

    abdujjaher milon said...

    ভাই জান,ছবি তো দেখাই যায়। বই টা বাংলায় কিভাবে পড়া যায়,তার একটা সিষ্টেম করেন।

    Sam said...

    @abdujjaher milon ভাই আপনার অনুরোধ কিছুদিনের মধ্যেই কার্যকর হবে আশা করি।
    মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। আপনার সহযোগিতা আমার একান্ত কাম্য।